২০১৩ এর ২৪ এপ্রিল। রানা প্লাজা ট্রাজেডি শুধু মাত্র জাতীয় বিপর্যয় নয়, এটি ছিল একটি মানবসৃষ্ট বিশ্ববির্পযয়। হিমালয় হিমুকে জাতি প্রথম দেখতে পায় এই রানা প্লাজা ধসের দিনে। কী এক উন্মাদনার বসে ধ্বংসস্তুপ তেকে আহত ও নিহত লোকজনকে সরিয়ে আনছিল। হাতুড়ি-ছেনি-করাত দিয়ে বেড় করে আনছিল একেকটি জীবিত ও মৃত মানুষ। রানা প্লাজা ধসের পর নিজের হাতে অনেকের হাত-পা কেটে উদ্ধার করেছিলেন নওশাদ হাসান হিমু ওরফে, হিমালয় হিমু। ঘটনার শুরুর দিন থেকে প্রায় পনের দিন, দিনরাত ছিলেন সেখানেই। পরবর্তীতে আরও টানা ১৭ দিন কাটিয়েছেন হাসপাতালে। সেবা-শুশ্রষা করেছেন পঙ্গু রোগীদের। কিন্তু মৃত্যুপুরীর সেই দুঃসহ স্মৃতি সে আর ভুলতে পারেনি। প্রতিনিয়ত চোখের সামনে ভেসে উঠতো সে সকল ভয়াবহ স্মৃতি। ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ধসে এক হাজারেরও বেশি গার্মেন্ট শ্রমিক নিহত হয়। ১৫ দিন ধরে হিমুর মত যারা সেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেছে। একটার পর একটা লাশ বেড় করে এনেছেন মৃত্যুপুরী থেকে, তাঁদের মানুষিক সুস্থতার কোন দায়ভার রাষ্ট্র নেয় নি । গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করে হিমু। হয়তো বিচার না হওয়ার ক্ষোভ ছিল তার, তাই তাজরীনের আগুনের মত, নিমতলীর মতো, নুসরাতের আগুনের মতো মৃত্যু বেছে নিল সে। কি ভয়ঙ্কর সেই অনাকাক্ষিত মৃত্যু।
বিবর্তনের চুড়ার দিকে এসে আমি মানুষ থেকে অর্ধেকটা যন্ত্র হয়েগেছি। আমিতো জেনেছি একটি শিশুপ্রাণ বাঁচাতে শতাধিক পৌড়-জোয়ান প্রাণ দিতে পারে। তাহলে কোথায় সেই সমাজ ? পৃথিবীকি কান্নায় ভিজে যাবার কথা নয় ? আমরা আর কতকাল ইশ্বরের নামে শুধু অভিসম্মাত দেব ?? একটি স্বাধীন দেশে নাগরিকের ভাত, কাপড়ের সমস্যার সমাধানই শেষ কথা নয়, তাঁদের বাক্ক্যক্তি তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতাও থাকা চাই।
যে সমাজ মানুষের মধ্যে শুভবোধ তৈরি করে, সম্প্রীতির বন্ধুনে সবাইকে মেলাতে চেষ্টা করে, যুক্তি ও বুদ্ধির অনুশীলনের মাধ্যমে মনের অন্ধকার দূর করে, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার করেও আমরা সেরকম একটি সমাজ তৈরি করতে পারিনি। এই ব্যর্থতার জবাব কী ?????
বিচারহীনতার এক অকহতব্য বাস্তবতায় প্রকৃত অর্থে একটি সমন্বিত জাগরণের প্রয়োজন। মানুষের তীব্র প্রতিবাদই কেবল পারে একটি কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে। জয় বাংলা।
রচনা ও নির্দেশনা : মুক্তনীল
মঞ্চে : হিমু চরিত্রে সাদ্দাম রহমান এবং বাতিঘরের আরো অনেকে।
সঙ্গীত : ইয়াসির আরাফাত / মুহাইমিন অঞ্জন
আলো : তানজিল আহমেদ
প্রযোজনা অধিকর্তা : শাহানা জয়।
★ ১৮ বছরের নিচের কারো জন্য নাটকটি নয় । কারণ নাটকটি শিশু ও কোমলমতি দর্শকের জন্য নয়।
★ নাটকটির কোন ছবি এবং ভিডিও ধারণ সম্পূর্ণ নিষেধ। যদি ছবি বা ভিডিওর দরকার পরে, তাহলে বাতিঘর তা প্রদান করবে।
★ নাটক শুরু হবার পূর্বে হলে প্রবেশ করুন। নাটক চলাকালিন আসা-যাওয়া সম্পূর্ন নিষেধ।
★ বাচ্চাদের অবশ্যই সঙ্গে আনবেন না। বাচ্চা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।
★ মিলনায়তনে ঢোকার পূর্বে আপনার মোবাইল বন্ধ নিশ্চিত করা হবে।
★ সাংবাদিক বন্ধুরা মঞ্চনাটক ও নাট্যকর্মীদের পরম বন্ধু ও সহযাত্রী। তাঁদের যেকোন সহযোগীতায় বাতিঘরের মিডিয়া সেল রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সংঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কিছু গোপনীয়তা, নিরাপত্তা এবং নাটকটির স্বকীয়তা বজায় রাখতে দল এইসকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ।
বাতিঘর এ বিষয়ে সকলের সহযোগীতা কামনা করছে।